ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর নিয়ে বিহার বিধানসভায় জবাব দিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার৷ নীতিশের জবাবে কার্যত কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারিই বলা ভালো৷ জানিয়ে দিলেন, ২০১০ সালের পদ্ধতি মেনেই এনপিআর লাগু করতে হবে বিহারে৷
বিধানসভায় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের মুলতুবি প্রস্তাবের জবাবে নীতিশ বলেন, ‘আমাদের অসুবিধা নিয়ে কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছি৷ গত ১৫ ফেব্রুয়ারিই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে৷ ২০১০ সালের ফর্ম্যাটেই এনপিআর লাগু করতে হবে৷ বিহারে এনআরসি-র প্রশ্নই ওঠে না৷ এনআরসি লাগুর একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আমার মা কবে জন্মেছেন, তা আমিই জানি না৷ এনআরসি আনার কোনও প্রয়োজন নেই৷’
সিএএ-র পক্ষে নীতিশের বক্তব্য, আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবও সিএএ কমিটিতে ছিলেন৷ আমি সিএএ-র সব কাগজপত্র দেখেছি৷ প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি, নজমা হেপতুল্লাও সিএএ-কে সমর্থন করেছিলেন৷
২০১০ সালে যারা ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) শুরু করেছিল, তারাই এখন এনপিআর নিয়ে ভুলভাল তথ্য ছড়াচ্ছে বলে রাজ্যসভায় বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
এ দিন নীতিশ কুমার বলেন, ‘বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে আমি যতদিন রয়েছি ততদিন কোনও সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্যায় হতে দেব না। রাজ্যে এনআরসি হবে না। আর এনপিআর করতে হবে ২০১০ সালের ফর্ম্যাট মেনেই। বিভেদমূলক নীতি মানবো না। এটাই রাজ্য সরকারের অবস্থান।’
আগামী ১৫ মে থেকে ২৮ মে-র মধ্যে বিহারে এনপিআর প্রক্রিয়া চলবে৷ তার বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিয়েছে বিহার সরকার৷