নিউটনকে প্লিজ ভুল প্রমাণ করুন। প্লিজ। অন্তত এখানে নিউটনের সূত্র মাফিক আর কিচ্ছু যেন না হয়। প্লিজ৷ প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া যেন না থাকে ৷ প্লিজ। আমরা ঘরপোড়া গরু। অপারেশন ব্লুস্টারের পরে ইন্দিরা হত্যা দেখেছি, তার পাল্টা শিখ নিধন দেখেছি। আমরা ১৯৯২ এর পাল্টা ১৯৯৩ দেখেছি। আমরা ২০০২ দেখেছি। গোধরায় করসেবকদের গোটা ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া দেখেছি, হাত জোড় করে ক্ষমাপ্রার্থনা করছে সেই কুতুবুদ্দিনকে দেখেছি৷ হাত জোড় করছি। এ দেশে আগুন জ্বললে সবার বাড়িতে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়বে৷
তিনজন এখন অবধি নিহত। দিল্লি জ্বলছে। একটা পেট্রল পাম্প জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাক্টর করে পাথর আনা হয়েছিল ছোঁড়ার জন্য। পাল্টা তলোয়ার ঘর থেকে বেরিয়েছে। তলোয়ার দেখে বন্দুক বের করেছিল এপক্ষ। ওপক্ষের একজনকে লক্ষ্য করে মারা হয়। পুলিশের বুকে লাগে। বাকি একজনকে গুলি করে ও আরেকজনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একজন পুলিশ আর দুজন সাধারণ মানুষ নিহত হন। নিহত পুলিশের নাম রতনলাল। নিহত নাগরিক মোহাম্মদ ফুরকন আর শাহীদ।
আমরা ভাবছিলাম ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কাশ্মীর। আমরা ভাবিনি কাশ্মিরে পরিনত হবে গোটা রাজধানী। অকল্পনীয় চিত্র৷ রাস্তায় হাজার হাজার পাথর, গাড়ি জ্বলছে, দোকান চুরমার করে দেওয়া হয়েছে, রাস্তা বন্ধ, স্কুল ছাত্রছাত্রীরা মাথার উপর হাত তুলে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছে। দু’পক্ষই দুপক্ষকে দোষারোপ করছে৷
সতর্ক হন। হাত মেলান। এসব রাত দীর্ঘ রাত। এসব রাতে ফের একবার রাহত ইন্দোরির লাইনগুলো মনে করুন। কারোর একার ঘর জ্বলে না জাতি দাঙ্গায়। শান্ত হন। শান্তি বজায় থাকুক।
“লগেগি আগ তো আয়েংগে ঘর কয়ি জাদ মে/ ইঁয়াহা পে সিরিফ হামারা মাকান থোড়ি হে”
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত