নভজ্যোৎ সিং সিধু পাকিস্তানের সেনা জেনারেলকে জড়িয়ে ধরে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। সিধুর পর এবার ব্যক্তিগত সফরে পাকিস্তানে গিয়ে নয়া বিতর্কে শত্রুঘ্ন সিনহা। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া শত্রুঘ্ন একটি বিয়ে বাড়িতে যোগ দিতে সেদেশে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। এমনকী সেখানে গিয়েই সেদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকেও বসেন বিহারীবাবু। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যেখানে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্তব্ধ, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিমান পাকিস্তানের আকাশপথ দিয়ে যেতে দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেখান এমন বৈঠক করলেন কী করে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে সূত্রের খবর, পাকিস্তানে গিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা দেখা করেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির সঙ্গে। আর ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে এমন রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার নিয়ে তুমুল ঝড় উঠতে শুরু করেছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শত্রুঘ্নর আলোচনা হয়েছে কাশ্মীর প্রসঙ্গে। কাশ্মীর প্রসঙ্গে শান্তি স্থাপন দুই নেতার আলোচনায় জায়গা করে নেয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন শত্রুঘ্ন। এই তথ্য নিজেই টুইটে জানান পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি।
যদিও শত্রুঘ্ন টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আমরা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেছি। তবে সেখানে কোনও রাজনীতির বিষয় ছিল না। আলোচনাও হয়নি। আমার বন্ধুরা, শুভাকাঙ্খীরা, সমর্থকরা এবং সংবাদমাধ্যম বুঝতে পারবে যে, দেশের নীতি, রাজনীতি নিয়ে বিদেশের মাটিতে সরকারের দ্বারা স্বীকৃত ব্যক্তিই আলোচনা করতে পারে।’
উল্লেখ্য, জনৈক নামী পাকিস্তানি ব্যবসায়ী মিয়াদ আসাদ এহসানের বাড়ির বিয়েতে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। লাহোরে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় পাক অভিনেত্রী রিমা খানের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবিটি উঠে এসেছে তাতে পাক অভিনেত্রী রিমা খানের পাশে বসেই ছবি তুলেছেন বর্তমান কংগ্রেস নেতা।