১৯১৭ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এখানে কাটিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এর আগে চিনের প্রেসিডেন্ট, জাপানের প্রধানমন্ত্রী-সকলেই এসেছেন এই আশ্রমে। এবার খুব কম সময়ের জন্য সবরমতী আশ্রম ঘুরে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বিমানবন্দর থেকে রোড শোয়ের পরই সবরমতী পৌঁছায় মোদী-ট্রাম্পের কনভয়।
দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসবেন। তাই আগে থেকেই সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছিল আশ্রম চত্বরে। আশ্রমের বাইরে সস্ত্রীক ট্রাম্পকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে মার্কিন ও ভারতীয় পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন স্কুল পড়ুয়ারা। ছিল গান্ধীজির ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রদর্শনীর আয়োজনও।
মোদীর সঙ্গে ট্রাম্প আশ্রমে এসে পৌঁছতেই পূর্বপরিকল্পনা মতো অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। ছিলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও। আশ্রমে ঢোকার আগে নিয়ম মেনে জুতো খুললেন মেলানিয়া, ট্রাম্প। আর আশ্রমে ঢুকে প্রথমে গান্ধীজির একটি ছবিতে মাল্যদান করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান ট্রাম্প এবং মোদী।
এদিন ট্রাম্পকে গোটা আশ্রম ঘুরিয়ে দেখান মোদী। গান্ধীজি যে চরকায় সুতো কাটতেন, আশ্রমে গেলে সেই চরকার সামনে বসার দস্তুর রয়েছে। সেই মতো গান্ধীজির সেই চরকার সামনে এসে বসেন ট্রাম্প। তবে এরপর চরকা ঘুরিয়ে সুতো কাটতেও দেখা যায় তাঁকে। হাত লাগান মেলানিয়াও।
সবরমতী আশ্রমে প্রায় ৩৫ মিনিট ছিলেন ট্রাম্প-মোদী। আশ্রমের স্মারক হিসেবে ট্রাম্পের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে গান্ধীজির বিখ্যাত ‘তিন বাঁদরের মূর্তি’র রেপ্লিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে ওই উপহার।