সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিতেছে। মন্দির, মসজিদ, লাইব্রেরিতে গিয়ে বিপ্লবী আন্দোলনকারী, বিক্ষোভকারীদের লুকোনো। সাধারণ নিরীহ মানুষের সাথে মিশে যাওয়া। কারণ? ওগুলো পবিত্র স্থান। ওখানে ঢোকা বারন থাকে প্রশাসনের। কিন্তু কোন প্রশাসন যদি এই অলিখিত নিয়ম বদলে দিতে চায়?
খালিস্থানী আন্দোলন চলছে। স্বর্ণ মন্দির কব্জা করে নিয়েছে ভিন্দ্রানওয়ালে। পাঞ্জাবের আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। দিনের পর দিন ভিন্দ্রানওয়ালে ও তার সহযোগীরা ভিতরে। ইন্দিরা গান্ধী সেনা ঢুকিয়ে দিলেন স্বর্ণ মন্দিরে ভিতরে। ঝাঁঝরা করে দেওয়া হলো যারা ভিতরে লুকিয়ে ছিল। বাকিটা ইতিহাস। রক্তাক্ত ইতিহাস।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির একটা সিসিটিভি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখানো হচ্ছে যে পুলিশ কিভাবে লাইব্রেরিতে ঢুকে ছাত্রদের লাঠিপেটা করছে। খারাপ খুব খারাপ। কিন্তু জটায়ুর কথায় সাসপিশাস হলো এরপরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো।
১). প্রথম ভিডিও তে আমরা দেখি পুলিশ লাঠিপেটা করছে। এটাও দেখি স্ক্রিনের ডানদিকে একজন মুখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় বসে। লাইব্রেরিতে কে রুমাল বেঁধে পড়তে বসে? প্রশ্ন উঠছে।
২). এরপরে আসলো দ্বিতীয় ভিডিও। দ্বিতীয় ভিডিওটি দীর্ঘ। এখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ নেই৷ ছাত্ররা আছে। তারপর দেখলাম অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভিতরে ঢুকলো। একজনকে দেখা গেল হাতে পাথর। তারপর বেঞ্চ দিয়ে দরজা আটকে দাঁড়িয়ে থাকলো। অর্থাৎ বাইরে কেউ ধাওয়া করেছে।
পুলিশ বরাবরই রাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ দাস। সবাই জানে। রাষ্ট্রীয় লুম্পেন ও বলা হয় এদের। কিন্তু পুলিশ, ডাক্তার, উকিল, সাংবাদিক মাত্রেই খারাপ, ধান্দাবাজ, রক্তচোষা, পৈশাচিক আর আন্দোলনকারী ছাত্র মানেই ধোঁয়া তুলশীপাতা তা বোধহয় না। এই যেমন মন্দিরে পুরোহিত না অনেক সময় ভিন্দ্রানওয়ালেরা ও ঢুকে পড়ে। এই যেমন মসজিদে অনেক সময়ই বিতর্কিত মন্তব্য আলোচনা হয়। লাইব্রেরিতে ও অনেকে পাথর ছুঁড়ে পালিয়ে বাঁচে।
পুলিশের পক্ষে নই। ছাত্রদের পক্ষে। এভাবে মারার পক্ষে নই। এক ছাত্রকে মেরে অন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। হয়তো সবকটা ছেলে ভয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়েছিল। হয়তো আত্মরক্ষার জন্যই পাথর ছুঁড়ে পালিয়েছিল। বেশীরভাগই আমরা ছাত্র আন্দোলনেরই পক্ষে তবে একচোখা তথ্যের দিকে থাকার দায় নেই। ব্যক্তিগতভাবে তথ্য চাপার দায় নেই। দু’পিঠের ভিডিওই দিয়ে রাখলাম। পাঠক বিচার করুক।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত