দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক তির্যক এবং অপ্রীতিকর মন্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজধানীর পরিস্থিতি। সেইসময়েই বিজেপির বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রীকে সাময়িকভাবে ব্যান করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর থেকেই রাজনীতিকদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে সুপ্রিম কোর্ট শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটছে।
সুপ্রিম কোর্ট যখন দাগি রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠানোর পাকাপাকি পদক্ষেপ করছে, ঠিক সেসময়েই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমন একজনকে কেরালায় পার্টির মুখ করে আনল, যাঁর বিরুদ্ধে সর্বমোট ২৪০টি এফআইআর রয়েছে। যেখানে সব অভিযোগই কিন্তু মামুলি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেখানে দাঙ্গা বাঁধানোর মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে কেরালা বিজেপির নতুন প্রেসিডেন্ট কে সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে।
প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় বিজেপি কেরালা প্রেসিডেন্টের পদটি খালি পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বছর বয়সি কে সুরেন্দ্রনকে এনে সেই শূন্যপদ পূরণ করল বিজেপি। নেতা হিসেবে তিনি আনকোরা নন। সুসস্পষ্ট বক্তব্যের কারণে রাজনৈতিক মহলে তাঁর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। অতীতে প্রচারের আলোয় এসেছেন শবরীমালার ‘পোস্টার বয়’ হিসেবে। শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কেরালার বিজেপি সভাপতি হিসেবে কে সুরেন্দ্রনের নিয়োগের কথা জানান। শুধু সুরেন্দ্রনকে আনাই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও সভাপতি বদলে, নিজের পছন্দের লোককে আনছেন নাড্ডা।
কিন্তু, রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, যাঁর বিরুদ্ধে ২৪০টি এফআইআর, যাঁর নিজেরই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পাশে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন, তাঁকে রাজ্যের সাংগঠনিক প্রধান পদে বসানোর যৌক্তিকতা কী? বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অবশ্য এ নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন। এ বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্যও তরফে করা হয়নি বিজেপির তরফে। তবে, সুরেন্দ্রনের সবথেকে প্লাস পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর ২০ বছরের সম্পর্ক। মনে করা হচ্ছে, সেই সুসম্পর্কের জেরেই এতগুলো কেসে ফেঁসে থাকা সত্ত্বেও তাঁকেই বসানো হল প্রেসিডেন্টের চেয়ারে।