ভ্যালেন্টাইন ডে’র আনন্দে মাতবে বিশ্ব। শহর পেরিয়ে এখন প্রেম দিবস পালনের হিড়িক রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। যুগলের দল যখন প্রেম দিবস পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়বে তখনই কেঁদে উঠবে নদীয়া জেলার তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম। পুলুওয়ামায় জঙ্গী হামলার ঘা যে এখনও স্পষ্ট সেখানে। গ্রামের ছেলের সুদীপের স্মরণে তাই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছে তাঁরা। যা প্রতিষ্ঠা হবে গ্রামের বাড়িতে। বছর ঘুরে গেলেও আঁধার কাটেনি সুদীপের বাড়িতে। বাবা-মা-দিদি দিন গুনছেন বিচারের আশায়। বিচার প্রক্রিয়া ঠিক ভাবে এগোচ্ছে না বলে কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা।
গত বছর বাড়ি থেকে ছুটি শেষ করে পলাশীপাড়া থানার হাঁসপুকুরিয়ার বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস তাঁর কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গী হামলায় ৪০ জন জওয়ান মারা যান। তার মধ্যে নদীয়ার সুদীপ ও হাওড়ার বাবলু সাঁতরা ছিলেন। এই ঘটনার পরে হাঁসপুকুরিয়া গ্রামে কেন্দ্রের অনেক মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, বড় বড় অফিসার সুদীপের বাড়িতে এসেছিলেন। তখন সবাই সুদীপের পরিবারকে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি, এই জঙ্গী হামলার সঠিক তদন্ত করা হবে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে কি হয়নি তাই জানে না সুদীপের পরিবার।
সুদীপের বাবা সন্ন্যাসী বিশ্বাস বলেন, ‘জঙ্গী হামলার পরে এক বছর হয়ে গেল তবু কী করে নিরাপত্তার ফাঁক গলে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি জওয়ানদের কনভয়ে ঢুকে পড়ল সেই রহস্য আজ পর্যন্ত উন্মোচন হল না। আমি চাই খুব তাড়াতাড়ি এই রহস্য সকলের সামনে আসুক।’
সুদীপের প্রতিবেশী ও হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বরুণ সিনহা বলেন, কেন্দ্র সরকার এক বছরের মধ্যেও জানাতে পারল না যে গাড়িটি কোথাকার। কেন্দ্রের এত বড় বড় এজেন্সি আছে যে, তারা এক বছরের মধ্যে রহস্য উন্মোচন করতে পারল না এটা কী করে সম্ভব। এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।