১ টাকা সেলামিতে ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। কলকারখানা এবং আবাসন-সহ সামগ্রিক শিল্পায়নে উৎসাহ দিতে বন্ধ মিল-ফ্যাক্টরি-ওয়ার্কশপের জমি ব্যবহারের অনুমতি আগেই দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এ বার এই ধরনের জমি শিল্পপতিদের দীর্ঘমেয়াদে লিজ দিতে এককালীন সেলামি এবং বার্ষিক খাজনায় বিপুল ছাড় দিল নবান্ন।
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলন পর্বে বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই দাবি করেন, কৃষকের জমি না-কেড়ে বন্ধ কারখানার জমিতে শিল্প হোক। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে বামফ্রন্ট সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেনি। তাই বরাবরের মতই পাশে থাকলেন মমতা।
নবান্নের এই সিদ্ধান্তে শিল্পায়নে জমিবাবদ নামমাত্র খরচ হবে বলে প্রশাসনিক মহল মনে করছে। বিশেষ করে পর্যটন এবং আবাসনের মতো শিল্প, যেখানে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, তা অনেকটাই উৎসাহিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দুই শিল্পেই জমিখাতে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।
নবান্নের এই সর্বশেষ জমিনীতিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারে আবাসন শিল্প। বিশেষ করে বেসরকারি উদ্যোগে ছোট ও মাঝারি মাপের উপনগরী এই নীতির মধ্য দিয়ে অনেকটাই লাভবান হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। ইতিমধ্যে জমির কারণে আড়াইশো একরের আবাসন প্রকল্পকেও উপনগরী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।