মাঝসমুদ্রে প্রমোদতরী, ক্রু মেম্বার, যাত্রী মিলিয়ে ভিতরে আটকা পড়েছেন কয়েক হাজার। সেখানেই করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে হুহু করে। কোনো উদ্ধারকারী জাহাজ নেই। সরকারের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেই ব্যাপারেও আঁধারে যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, এই ক্রুজ শিপের নাম ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস।’ জাপানে যাওয়ার কথা ছিল সেই জাহাজের। কিন্তু বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হয়নি তাই ইয়োকোহোমার কাছেই সমুদ্রের বুকে আটকে পড়েছে জাহাজ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম এই জাহাজের ভিতর এক যাত্রীর ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ জনে। সমুদ্রের বুকেই আটকে দেওয়া হয় ডায়মন্ড প্রিন্সেসকে।
১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে জাহাজটিকে। যাত্রীদের অভিযোগ, ভেতরে আইসোলেশন ওয়ার্ড বা উন্নত চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থাই নেই। তার ফলে সকলেই এই সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এই জাহাজের ক্রু মেম্বার উত্তর দিনাজপুরের হাতিপা গ্রামের বাসিন্দা বিনয় কুমার সরকার। ফেসবুকে লাইভ ভিডিও পোস্ট করে বলেছেন, ‘‘ভাইরাস পুরোপুরি কব্জা করে নিচ্ছে জাহাজের যাত্রীদের। এরপরে সকলেই সংক্রামিত হবেন। আমাদের উদ্ধার করুন। আমরা বাড়ি ফিরতে চাই।’’
জাহাজে এই মোট যাত্রী সংখ্যা ২,৬৬৬ জন। যার মধ্যে ১৬০ জন ভারতীয়। ক্রু মেম্বাররা রয়েছে ১,০৪৫ জন। সকলের মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন এক একজনের রিপোর্ট পজিটিভি আসছে। এখনই প্রায় ৬২ জন আক্রান্ত বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই এই জাহাজেরই এক ব্রিটিশ যাত্রী ফেসবুক পোস্ট করে জাহাজের ভিতরের অবস্থার কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বেশিরভাগ যাত্রীর অবস্থাই শোচনীয়। সকলেই তাঁদের নির্দিষ্ট কেবিনে আটকে রয়েছেন। বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। উদ্ধারের কী ব্যবস্থা হচ্ছে সেই ব্যাপারেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন জাহাজের নাবিকরা।