২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। এককভাবে ৩০০–রও বেশি আসন এবং জোট মিলিয়ে ৩৫০–এরও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কিন্তু ভোটের পর থেকেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধীরা। তবে এবার সামনে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১৯৬১ সালের নির্বাচনী আইনের ৯৪(বি) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনও নির্বাচনে ভিভিপ্যাট ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেই ভিভিপ্যাট স্লিপ অন্তত ১ বছর রেখে দিতে হয়। কিন্তু চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, ২০১৯ নির্বাচনের ভিভিপ্যাট স্লিপ ৪ মাসের মধ্যেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে! দিল্লী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ভিভিপ্যাট স্লিপ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চায় সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ক্যুইন্ট’। তাদের আরটিআই–এর উত্তরে এই কথাই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ আধিকারিক। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, কীসের এত তাড়া ছিল নির্বাচন কমিশনের?
আরটিআইয়ের উত্তরে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৯–এর ২৪ সেপ্টেম্বর সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ‘ভিভিপ্যাট প্রিন্টেড পেপার স্লিপগুলি নিষ্পত্তি করার’ নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনও ভোটার কাকে বা কোন দলকে ভোট দিয়েছেন কিংবা কোন দল কত ভোট পেয়েছে তারও অন্যতম বড় প্রমাণ এই ভিভিপ্যাট স্লিপ। সেই স্লিপকেই তাড়াহুড়ো করে মাত্র ৪ মাসে নষ্ট করে দেওয়ার কারণ নিয়েই দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পরেই রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়ের মতো রাজ্য থেকে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট অমিলের খবর সামনে আসে। এই নিয়ে অবশ্য পরে নির্বাচন কমিশন তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই তদন্তেরও এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রসর হয়নি।