ক্রমশ চিনে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। হাজার চেষ্টা করা হলেও থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না সেখানে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের অন্তত ৬৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলল প্রতিবেশী দেশ থেকে। সোমবার পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ছিল ৩৬১, মঙ্গলবারই তা বেড়ে দাঁড়াল ৪২৫, বুধবার ৪৯২ ও বৃহস্পতিবার তা বেড়ে হয় ৫৬০-এ। যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। সার্জিক্যাল মাস্ক-সহ বেশ কিছু চিকিৎসার সরঞ্জামেরও আকাল দেখা দিয়েছে। মাস্কের জন্য লম্বা লাইন ইউহানে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার।
সংক্রমণ আটকাতে চিনের ১৯টি শহর বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। উড়ান তো বটেই, ট্রেন-বাস-ফেরি-সহ গণপরিবহণের সমস্ত ব্যবস্থা বন্ধ। স্কুল-কলেজ-অফিস বন্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো ঘরবন্দি। এমনকি, বাজার করতে বেরেনোতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তার উপরে রোগীর সংখ্যা যে মাত্রায় বাড়ছে, তাঁদের চিকিৎসার সমস্ত সুবিধা দেওয়াও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে চিন সরকারের পক্ষে। ১ দিনের শিশুর দেহেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ইউহানে। একদিনের ওই শিশুকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই শিশুটিই এখন সর্বকনিষ্ঠ যার দেহে এই মারাত্মক ভাইরাসের লক্ষণ মিলল।
সরকারি পরিসংখ্যানে, মৃতের সংখ্যা ৫৬০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা আরও ২৮ হাজার। মৃতদের বেশির ভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। ফলে, মৃত্যুমিছিল কোথায় গিয়ে থামবে, জানা নেই। এদিকে, হংকংয়েও করোনায় মঙ্গলবার এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। হংকং প্রশাসন ঘোষণা করেছে, চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে সেখানে কেউ ঢুকলে, তাঁদের দু’সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। চিনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে আরও ২৬টি দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলেছে। ব্রিটেন জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শেষেই ইউহান থেকে তাদের দেশের নাগরিকদের শেষ দলটিকে এয়ারলিফ্ট করা হবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার চিন থেকে ব্রিটেনে ফেরানো হয়েছে ৮৩ জন নাগরিককে।