গত সেপ্টেম্বর মাসে ৪০ শতাংশ ট্যাক্স চাপানো হয়েছিল পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর। অর্থাৎ রপ্তানি করলে ৪০ শতাংশ বাড়তি ট্যাক্স দিতে হবে। ডিসেম্বরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে নাসিক জেলাজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ চালাচ্ছে কৃষকরা। তাঁদের কাছে হিমঘরে রাখার জন্য টাকা কোথায়! কৃষকরা বাধ্য হয়েছে সস্তায় হাজার হাজার কুইন্টাল সবজি ছেড়ে দিতে। দাম না পাওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন বহু কৃষক। অবশেষে লোকসভা ভোটের আগে কৃষকদের মন পেতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মোদী সরকার। যদিও তাতে চিড়ে ভেজেনি। বরং ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় এলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে বিক্রি করে দেবেন বলে আশঙ্কা করছেন পিম্পি গ্রাম থেকে মান্ডিতে পেঁয়াজ নিতে আসা সবজি বিক্রেতা ভগবন্ত।
তাঁর দাবি, ভোটের আগে বাজার দর চড়িয়ে দেওয়া হল। অনেকেই মনে করবে, কৃষকদের বোধহয় অনেক মুনাফা হবে। তাঁদের মতো ব্যাপারীদের লাভ হবে। কিচ্ছু হবে না। লাভ হবে মোদীর বন্ধু ব্যবসায়ীদের। তিনিই বলছেন, পরপর সব লরি দাঁড়িয়ে আছে পেঁয়াজ মান্ডিতে। চাষিরা খুশি নন। তার দাম পাচ্ছে না! নাসিকের লাল পেঁয়াজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। অথচ গুজরাতের সাদা পেঁয়াজে নিষেধাজ্ঞা নেই! তাঁর অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বর থেকে নাসিকের পেঁয়াজ চাষিদের অন্ধকারে রেখে গুজরাত একতরফা সাদা পেঁয়াজ রপ্তানি করে বিপুল লাভ করে নিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, গুজরাতের সাদা পেঁয়াজের রপ্তানিকারী ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো সব বিজেপির কাছের মানুষ?