গত মাসের শেষের দিকে পাহাড়ে গিয়ে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী স্লোগান তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই মাসের শুরুতেই কেন্দ্রের নয়া আইন সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে পোস্টারে ছেয়ে গেল পাহাড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয়পন্থী কর্মী–সমর্থকরা এদিন পাহাড় জুড়ে পোস্টার সাঁটান। সেখানে বিজেপির কাছে নানা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের চিরস্থায়ী সমাধানের হদিশ জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তের কাছেও। কেন বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে ভোট চেয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ফিরে আসার পর ৩১ জানুয়ারি বিনয় তামাং ও অনীত থাপা গিয়েছিলেন কলকাতায়। দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পাহাড়ে ফিরে জানিয়েছেন, তাঁদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতা যাওয়ার আগে জানিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতায় গিয়ে এনআরসি নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা করবেন। পাহাড়ে ফেরার পরেই পোস্টারিং শুরু হওয়ায় মনে করা হচ্ছে, এনআরসি নিয়ে মোর্চা তাঁদের লড়াই চালিয়ে যেতে চায়।
মোর্চা নেতা পূরণ নামি জানান, ‘পাহাড় থেকে আমরা বারে বারে বিজেপির সাংসদ পাঠিয়েছি। প্রত্যেকবার তাঁরা চিরস্থায়ী সমাধানের কথা বললেও, আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন আবার এনআরসির নামে অনুপ্রবেশকারী বানানোর চক্রান্ত হচ্ছে। ফলে আমরা বিজেপির কাছে জানতে চাই, কোথায় গেল চিরস্থায়ী সমাধান?’