গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় ব্রেক্সিট বিল। এরফলে প্রায় ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা সম্পর্কে ছেদ পড়ল। ৩১ জানুয়ারি রাত ১১ টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকরী করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন। এবার ইউরোপজুড়ে আর অবাধ গতিবিধির পথ আর রইল না।
৬৮৩ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৬২১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪১টি। তার মধ্যে ২১ জন সদস্য ভোট দেননি। ২০১৬ সালের ২৩ জুন গণভোট দিয়ে ব্রিটেন ঠিক করেছিল,
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসবে। তার পরে সাড়ে তিন বছর কেটে গিয়েছে। অসংখ্য বার ব্রেক্সিট বিল নিয়ে আলোচনায় ও বিতর্ক হয়েছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। অবশেষে তা শেষ হল।
ব্রেক্সিট কার্যকরী হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, “অনেকের জন্যই আজ নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। এমন একটা মুহূর্ত যা অনেকেই ভেবেছিলেন কোনওদিন আসবে না। এটি প্রকৃত জাতীয় পরিবর্তনের মুহূর্ত। আমি জানি অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ বা অনিশ্চয়তা রয়েছে। বা অনেকেই রাজনৈতিক ডামাডোল নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ সকলকে আশ্বস্ত করে এই দেশকে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”
অন্যদিকে, ব্রেক্সিট কার্যকরী হওয়ার পর মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্রেক্সিটের প্রতিবাদে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন সমর্থক স্কটল্যান্ডে মোমবাতি মিছিল বের হয়। এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা যায় লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে। সেখানে আনন্দে মেতে ওঠেন বহু মানুষ। ‘লং লিভ দ্য কুইন’ স্লোগানে মেতে ওঠে আকাশ বাতাস।