বহুদিন থেকে জল্পনা ছিলই। এবার অর্থনীতিবিদদের কথা সত্য প্রমাণ করে বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্র। এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন ‘পিপিপি’ বা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলে জোর দেওয়া হবে।
শনিবার সংসদে দ্বিতীয় মোদি সরকারের পূর্ণাঙ্গ সাধারণ বাজেট পেশ করেন সীতারমণ তিনি জানান, শীঘ্রই নতুন শিক্ষানীতি আসবে। উচ্চশিক্ষা প্রদান করে এমন ১৫০টি প্রতিষ্ঠানে সদ্য পাশ করা ইঞ্জিনিয়ারদের এক বছরের জন্য শিক্ষানবিস হিসেবে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। গরীব পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে স্নাতকস্তরের কোর্স চালু করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের মধ্যে প্রথম ১০০’র তালিকায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই এই কোর্স চালু করতে পারবে। এছাড়াও, ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের আওতায় এবার এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে স্যাট পরীক্ষা চালু করা হবে।
এদিন দেশের পুলিশবিভাগ ও বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্তের কথা মাথায় রেখে একটি ‘ন্যাশনাল পুলিশ ইউনিভার্সিটি’ ও ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি’ স্থাপনের কথাও ঘোষণা করেন নির্মলা। দেশে চিকিৎকদের অপর্যাপ্ত সংখ্যার কথা বাজেটে তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এই সমস্যার সুরাহা করতে পিপিপি মডেলে জেলার সদর হাসপাতালগুলির সঙ্গে একটি করে মেডিক্যাল কলেজ খোলা হবে। শিক্ষক, প্রশিক্ষিত নার্সের চাহিদা অনেক বেশি। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনে ব্রিজ কোর্স ও বিশেষ প্রশিক্ষণ চালু হবে, জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য ১৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ৯৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, আর্থিক মন্দার কথা মাথায় রেখেই ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর লক্ষ্যেই ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ হতে চলেছে বলেই আগেই জানা গীয়ছিল। আমজনতার সুবিধাকে মাথায় রেখে পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। তবে আমেরিকা-ইরানের মধ্যে সংঘাতের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে চাপানউতোরে ভারতের অর্থনীতি কোন পথে ছাঁটবে এবং সরকারই বা কী নীতি গ্রহণ করবে তা সময়ই বলবে।