লোকসভা ভোটের পর থেকেই একের পর এক তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের ওপর আক্রমণ নেমেছিল গেরুয়া বাহিনীর। এদিনই নদীয়াতে বিজেপি নেতার গুলিতে নিহত হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। আর আজকেই আলিপুরদুয়ারে ফের বিজেপি নেতার গুলিতে খুন আরও এক তৃণমূল যুব কর্মী। এই ঘটনায় গোটা জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, অভিযুক্ত বিজেপি দলের নেতা ছিল। আলিপুরদুয়ারের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘বিপ্লব বসাক বিজেপির নেতা। উনি একজন সমাজ বিরোধী। সেই গুলি করে যুব তৃণমূলের কর্মী বাপিকে খুন করেছে।’
আলিপুরদুয়ার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর অরবিন্দনগরের এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গেছে, এই ঘটনার পরই আলিপুরদুয়ার থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত বাপি পণ্ডিতকে উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে বাপিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিহত যুবক বাপি কোচবিহার আইটিআই থেকে মোটর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পাস করেছেন। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া ভোলার ডাবরি গ্রামে।
পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বন্দুক খুঁজে পায়। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া বন্দুক দিয়েই গুলি চালিয়ে ভাইকে খুন করেছে বিপ্লব। সেই বন্দুক বিপ্লবের লাইসেন্স করা বন্দুক ছিল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তবে নিহত বাপির বাবা বিপ্রদাস পণ্ডিত বলেন, ‘আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের একটি জমি আছে। সেই জমি বিক্রি করতে দিচ্ছে না বিপ্লব। তাই নিয়ে বিবাদ ছিল। আমার একমাত্র ছেলেকে খুন করেছে বিপ্লব। আমি তার ফাঁসি চাই।’
উল্লেখ্য, এর আগেও আলিপুরদুয়ার জেলাতে সম্প্রতি একাধিক গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আলিপুরদুয়ার শহরের প্রাণকেন্দ্রে এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা শহরের মানুষ। পুলিশ রাতে ঘটনার পরেই অভিযুক্ত যুবক বিপ্লবের জামাইবাবু কানু মল্লিককে গ্রেফতার করেছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি।’