৯ বছর আগে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর অনেক আগে থেকেই বাংলার উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাঁ, মমতা যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরকে ডানকুনি পর্যন্ত নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন তিনি। কিন্তু জমি-সহ নানা সমস্যার জন্য এতদিনেও সেই কাজ শুরু করা যায়নি। অবশেষে মিটে গেল জমির সমস্যা। আর তার ফলেই কাটল লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর নিয়ে জটিলতা।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের ওপর দিয়ে ২০৩ কিমি রেলপথ যাবে। এরজন্য হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এতদিন জমি অধিগ্রহণে সমস্যা হচ্ছিল। নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জমি চিহ্নিত করেছে। ঠিক হয়েছে দেড়গুণ দাম দিয়ে জমির মালিক দের থেকে জমি কেনা হবে।
রেলপথে কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে আগামী দিনে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। উত্তর ভারতের লুধিয়ানা থেকে মুঘলসরাই পর্যন্ত ১,১৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর হবে। মুঘরসরই থেকে বিহারের শোননগর (১২৬ কিলোমিটার) হয়ে ডানকুনি পর্যন্ত এই করিডর তৈরি হওয়ার কথা। করিডরের ৫৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ শোননগর এবং ডানকুনি রুটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক দিন ধরেই নানা জল্পনা চলছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, এবার সেই জট কেটে গিয়েছে। রেল চাইলে এবার কাজ শুরু করতে পারে।