সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জায়গায় মিটিং-মিছিলের পাশাপাশি ধর্মতলার ধর্ণামঞ্চেও তিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-আন্দোলনের পাশাপাশি এবার প্রতিবাদী-ছবিও। এবার তুলির টানেই জীবন পাবে প্রতিবাদের ভাষা। সম্ভবত প্রথম বার। বাংলাই পারে প্রতিবাদের নতুন ভাষা, নতুন উপায় বার করতে। মমতার উদ্যোগে এমনটাই করে দেখাতে চলেছে কলকাতা। জানা গেছে, পথে তুলি হাতে থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে আরও ৫০ জন শিল্পী। প্রমাণ সাইজের পঞ্চাশটি ক্যানভাসে রং-তুলিতে জীবন্ত হবে প্রতিবাদের ভাষা।
আগামী ২৮ জানুয়ারি কলকাতার রাজপথে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে রং তুলি হাতে জনা পঞ্চাশেক শিল্পী দেখাবেন তাঁদের এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ। রাস্তার উপরেই থাকবে প্রমাণ সাইজের পঞ্চাশটা ক্যানভাস। থাকবে রং-তুলি। নির্দিষ্ট সময় শুরু হবে ছবি আঁকার কাজ। অভিনব উদ্যোগ, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণও বটে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার ঘনিষ্ঠ শিল্পীদের একাংশের তরফে এমনই উদ্যোগের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাখা হয়েছিল। এমন প্রস্তাবে সায় দিতে খুব একটা দেরি করেননি মমতা।তারপরে ঠিক হয়েছে ২৮ শে জানুয়ারি হবে এই কর্মসূচি।
সিএএ-এনআরসি নিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিবাদী তৃণমূল সুপ্রিমো। একাধিক জনসভা মিটিং-মিছিলে করেও তিনি থেমে থাকেননি। চার চারটি কবিতাও লিখে ফেলেছেন। এর আগে পার্ক সার্কাসে মঞ্চ থেকে ছবি এঁকেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে তো সঙ্গী ছিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন। সেই ক্ষেত্র আরও আরে বহরে বাড়তে চলেছে ২৮ জানুয়ারি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। যেখানে ৫০ জন শিল্পী কে সঙ্গে নিয়ে রং তুলি হাতে তুলে নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে যার নিজের মতন করে ছবি আঁকবেন। সিএএ এবং এনআরসি ছবির মূল প্রতিপাদ্য।