গতকাল দ্বিতীয়বার রাজ্য সভাপতি হয়েই তিনি বলেছিলেন, ‘তৈরি থাকুন, আরও কঠিন কথা শুনতে হবে।’ আর আজকেই ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিস্ফোরণ ঘটালেন দিলীপ ঘোষ। হাওড়ায় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘আধার কার্ড, ভোটার কার্ড নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ নয়। প্রধানমন্ত্রী তিন চারমাস সময় দেবেন। তার মধ্যে প্রমাণ করতে হবে সব। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে তথ্য যদি না দেন, তাহলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন কেবল সিএএ নিয়ে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে সুর চড়াচ্ছেন, সেখানে তাঁদেরই দলের রাজ্য সভাপতির এই হুঁশিয়ারি সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আর এতেই বিজেপির আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ছে বলেই মত তাঁদের। এদিন দিলীপ ঘোষ স্পষ্টতই বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যাঁরাই এসেছেন, যে ধর্মেরই হোন না কেন, সকলকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে।’
দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমরা কি সকলে বাবা-মায়ের জন্মতারিখ মনে রাখি? আমার বাবার তো বার্থ সার্টিফিকেট কোথায়, আমি জানিই না।’ এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের মা-বাপের ঠিক আছে, আমাদের চিন্তা নেই। যাদের মা-বাপের ঠিক নেই, তাঁদের চিন্তা।’ সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘উনি তো পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলেন। সব কিছুতেই ওনার বিরোধিতা। কিন্তু কিছুতেই লাভ হবে না। ওনার বিরোধিতা এবার ধোপে টিকবে না।’
বিজেপির বিরোধিতায় বারবার কলকাতার রাজপথে নামছেন বিদ্বজনেরা। তাঁদেরকে আগেই নির্বোধ ও হাওয়ামোরগ বলে কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। হাওড়ার সভা থেকেও এদিন তিনি বলেন, ‘এরা কারা? এদের বাম আমলে দেখতাম বাটি-থালা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে বামেদের জন্য। এখন আবার অন্য দিকে।’ যদিও তৃণমূল নেতা তাপস রায় দিলীপকে কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘কে নাগরিক, কে নাগরিক নয় তা কি এখন বিজেপি ঠিক করে দেবে?’ ওনাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র ঠিক আছে তো? দিলীপের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য ছুঁড়ে দেন তাপস রায়ও।