এনআরসি-সিএএ নিয়ে ক্রমশই কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়ছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তেলেঙ্গানাও জানিয়ে দিয়েছে সেখানে হবে না এনআরসি-সিএএ। ইতিমধ্যে কেরালা এনআরসি-সিএএ বিরোধী প্রস্তাব এনেছে বিধানসভায়। এবার সেই পথে হাঁটল পাঞ্জাবও। দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব পাস করতে চলেছে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য পাঞ্জাব।
শুধু তাই নয়, কংগ্রেস হাই কমান্ডের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এনআরসি এবং এবং এনপিআরও কাঁধ থেকে ঝেড়ে দিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। এই দুইয়েও না রয়েছে তাদের।
কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড়ও চেষ্টা চালাচ্ছে এগুলিকে বাতিল করার। ২০১৯ সালের অক্টোবরের নির্দেশিকা শিকেয় তুলে কীভাবে এনপিআরে রাজ্যের অংশগ্রহণ বাতিল করা সম্ভব, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।
গত সপ্তাহেই সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে হওয়া বিরোধী বৈঠকে নতুন রণনীতি নেওয়া হয়েছে। যে যে রাজ্যে বিজেপি সরকার নেই, সেখানে এই সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-এর কড়া বিরোধিতা করতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীদের। কেন্দ্র সরকারকে চাপে রাখার এই কৌশলী চালকে হাতিয়ার করেই এগোতে চাইছে বিরোধী শিবিরগুলি। তারপরও অতি সক্রিয়তার সঙ্গে নড়েচড়ে বসেছে পঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্য।