বেফাঁস মন্তব্য করায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তিনি কখনও বলেন ‘মহাভারতের সময়ে স্যাটেলাইট অস্তিত্ব’, আবার কখনও নিদান দেন, ‘শিল্প আনার থেকে গো-পালন ভালো’। ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে যখনই মুখ খুলেছেন বিপ্লব দেব। তখনই জন্ম নিয়েছে নতুন নতুন বিতর্ক৷ এবার অবশ্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিল নয়া বিপ্লব-বাণী, ‘১৯৭২-এ ত্রিপুরা স্বাধীন হয়েছে!’ ইতিমধ্যেই যা নতুন খোরাক হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
প্রসঙ্গত, রাজন্যশাসিত ত্রিপুরা ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর ভারত যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দেয়। আর ১৯৭২-এর ২১ জুন পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা পায় ত্রিপুরা। তবে শনিবার সিপাহিজলা জেলার মোহনভোগে এক সরকারি অনুষ্ঠানে বিপ্লব দেব বলে বসেন, ‘১৯৭২-এ ত্রিপুরা স্বাধীন হয়েছে।’ আর তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব কংগ্রেস ও সিপিএম। এমনকী বিজেপি নেতারাও এখন ঘরোয়া আলোচনায় তাঁর ‘পাণ্ডিত্য’ নিয়ে চুল ছিঁড়ছেন।
ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ পবিত্র কর বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উনি রাজ্যের মানুষকে চেনেন না। জেলা চেনেন না। ইতিহাস জানেন না। জানার চেষ্টাও নেই।’ পবিত্রবাবু আরও বলেন, ‘দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা রাজ্যের মানুষ আগে ত্রিপুরাবাসী হিসাবে গর্ব বোধ করতেন। আনন্দিত হতেন। এখন লজ্জিত হন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের।’
প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল রায়ের প্রশ্ন, ‘প্যারাশুট মুখ্যমন্ত্রীর এরকম অর্বাচীন মন্তব্য বিজেপি দল সহ্য করছে কী করে!’ তাঁর কটাক্ষ, ‘উনি কিছুই জানেন না। ত্রিপুরার পলিটিক্স সম্পর্কে এবিসিডিটুকুও জানেন না। পড়াশুনোও করেন না। খুব দুর্ভাগ্যজনক।’ তাঁর মতে, এর ফলে রাজ্যের ভাবমূর্তি লুণ্ঠিত হচ্ছে।