এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছেলে-মেয়েদের আচরণ মাত্রা ছাড়াচ্ছে বলে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে বাবুল বলেন, ‘যাদবপুরের পড়ুয়ারা, বিশেষ করে আর্টস ফ্যাকাল্টির ছেলে-মেয়েরা কিছুদিন ধরেই মাত্রা ছাড়াচ্ছে।’
মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর বাবুলকে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি যাদবপুরের বাম ছাত্ররাও। বাবুলের অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে, সেই আর্টস ফ্যাকাল্টির ছাত্রসংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঊষসী পাল বলেন, ‘মাত্রা তাঁরা ছাড়াচ্ছেন, যাঁরা ধর্মের নামে দেশকে ভাগ করতে চাইছেন। বাবুল সুপ্রিয় কী বললেন তাতে কিছু এসে যায় না। আন্দোলন চলবেই। সে ওঁর পছন্দ হলেও চলবে, আর না হলেও।’
বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতা সফরে এসে বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তা দিয়েছেন। কিন্তু এখন সব জায়গায় ‘মমতা গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি বামনেতাদের কটাক্ষ করে পরামর্শ দেন, পড়ুয়াদের এভাবে জীবন নষ্ট করবেন না। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী কলকাতা পা দেওয়া মাত্রই কংগ্রেস-সিপিএম-সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কালো পতাকা, বেলুন, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তোলে, ‘মোদী গো-ব্যাক’। এইজন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকেও দোষ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এতদিন প্রশ্রয় দিয়েছেন ছাত্রদের’।
এদিকে বাবুলের নিশানা থেকে বাদ যাননি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যাদবপুরের উপাচার্য অত্যন্ত শিক্ষিত মানুষ। সে ব্যাপারে তাঁর সম্পর্কে শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু ভাল ফুটবলার মানেই যেমন ভাল কোচ হন না, তেমনই প্রাজ্ঞ হলেই তিনি ভাল প্রশাসক হন না।’ এখানেই থামেননি বাবুল। ছাত্র আন্দোলনের নামে যাদবপুরের ছাত্ররা যা করছেন, তাতে প্রাক্তনীদের মাথা হেঁট হচ্ছে বলেও দাবি এই গায়কের। তিনি বোঝাতে চান, ছাত্ররা আন্দোলন করবে তাতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু তার একটা সীমা থাকা উচিত। যাদবপুরের বাম ছাত্ররা সব সীমা পার করে যাচ্ছেন বলেই মনে করেন তিনি।