প্রথম মোদী সরকারের আমল থেকেই নানাভাবে বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে বাংলা। দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেও সেই ধারা বজায় রেখেছে তারা। এবার যেমন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে ৫৯০৮.৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও সেই টাকার কানাকড়িও পেল না বাংলা। ২০১৯ সালে যেসব রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই সব রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া হয় এই তহবিলের মাধ্যমে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র সাতটি রাজ্য এই সাহায্য পেয়েছে। যার মধ্যে নেই এ রাজ্য।
প্রসঙ্গত, কোন কোন রাজ্য এই অর্থ পাবে তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। তারপর আসামকে দেওয়া হয়েছে ৬১৬.৬৩ কোটি টাকা, হিমাচল প্রদেশ ২৮৪.৯৩ কোটি, কর্ণাটক ১৮৬৯.৮৫ কোটি, মধ্যপ্রদেশ ১৭৪৯.৭৩ কোটি, মহারাষ্ট্র ৯৫৬.৯৩ কোটি, ত্রিপুরা ৬৩.৩২ কোটি এবং উত্তরপ্রদেশ ৩৬৭.১৭ কোটি টাকা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাদ গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের শিকার বামশাসিত কেরালাও।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই মমতার করা অভিযোগ সত্য বলেই প্রমাণিত হল। কারণ তিনি বারবার বলে আসছিলেন বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তাঁর সরকারই সাহায্য করেছে, কেন্দ্র কিছুই করেনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, নানা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতা আক্রমণ শানাচ্ছেন বলেই প্রতিহিংসা বশত বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর রাজ্যকে। আবার সম্প্রতি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে একজোট হওয়ার আহ্বান করেছিলেন। তাই কেরলের ওপরও কোপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।