মাইকেল ভনের মতো হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটারকে বাদ দিলে বেশির ভাগ প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটারই আইসিসির চার দিনের টেস্টের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। মঙ্গলবার যেমন বললেন শচীন তেন্ডুলকর। আইসিসির কাছে তাঁর আবেদন, টেস্ট ম্যাচের দিন যেন কমানো না হয়। সংবাদসংস্থাকে শচীন বলেছেন, ‘রক্ষণশীলতা এবং টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা থেকে আমি বলব, কোনও ভাবেই যেন পাঁচ দিনের ক্রিকেট-কাঠামোর পরিবর্তন করা না হয়। এত বছর ধরে যে ভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলা হয়ে এসেছে, সে ভাবেই যেন হয়।’
কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান মনে করেন, একটা দিন কমানো হলেই ব্যাটসম্যানদের ধারণা হয়ে যাবে এটা সীমিত ওভারের ক্রিকেটেরই একটা অংশ। শচীনের কথায়, ‘একজন ব্যাটসম্যান যদি দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ পর্যন্ত ব্যাট করে, তা হলেই তার মনে হবে, খেলার তো আর মাত্র আড়াই দিন বাকি। সে কথা মাথায় রেখেই তাই ব্যাট করতে চাইবে। চার দিনের টেস্টে খেলতে নামলেই ব্যাটসম্যানদের মনে হবে, এটা তো প্রায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটই খেলছি।’
শচীন হলেন একমাত্র ক্রিকেটার যিনি দুশোটি টেস্ট খেলেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই গতকাল তিনি বলছেন, ‘এক জন স্পিনারের কাছ থেকে পঞ্চম দিনের পিচ কেড়ে নেওয়ার অর্থ হল একজন পেসারের কাছ থেকে প্রথম দিনের পিচ নিয়ে নেওয়া।’ টেস্টের পঞ্চম দিনটা এক জন স্পিনারের কাছে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ, তাও সর্বসমক্ষে বলেছেন শচীন। তাঁর কথায়, ‘পঞ্চম দিনের শেষ সেশনে সব স্পিনারই বল করতে চাইবে। মাথায় রাখতে হবে, বল কিন্তু প্রথম দিন থেকেই ঘোরে না। বল ঘোরার জন্য পিচকে সময় দিতে হবে। পিচকে ভাঙতে দিতে হবে। পঞ্চম দিনের পিচে তাই অসমান বাউন্স থাকে, বলও ঘোরে।’
শচীন চান, ব্যাটসম্যানদের যোগ্যতা পরীক্ষার চূড়ান্ত মঞ্চ যেন টেস্ট ক্রিকেটই হয়ে থাকে। কিংবদন্তি বলেছেন, ‘বাণিজ্যিক ব্যাপারটা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে, সেটা আমি মানি। দর্শকদের কথাটাও মাথায় রাখা দরকার, সেটাও মানছি। কিন্তু তার জন্য তো আমরা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে চলে গিয়েছি। আর এখন তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও চলে এসেছে। রক্ষণশীলদের জন্য কিছু একটা তো রেখে দিতে হবে। তাই সেটা টেস্ট ক্রিকেটই হোক।’