রবিবার জেএনইউতে দুষ্কৃতী হামলায় পড়ুয়াদের আহত হওয়ার খবর পেয়েই সেখানে চিকিৎসা করতে ছুটে যান ডাক্তার, নার্সরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগেই এক দল দুষ্কৃতী তাঁদের আটকায়। মারধর করা হয় চিকিৎসক ও নার্সদের। ভেঙে দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সের কাঁচ। আর এই গোটা ঘটনা পুলিশকর্মীদের সামনে হয়েছে বলে অভিযোগ। ডাক্তারদের ওপর আক্রমণ হলেও তাঁদের রক্ষা করতে আসেনি পুলিশ। এই ঘটনায় এবার মুখ খুলল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আইএমএ’র প্রশ্ন, ‘দেশে কি গৃহযুদ্ধ চলছে?’
এক প্রেস বিবৃতিতে আইএমএর জেনারেল সেক্রেটারি আর ভি অশোকান ও সভাপতি আর শর্মা যৌথ ভাবে জানান,‘জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত পড়ুয়াদের শুশ্রূষা করতে যাওয়ার সময় চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমরা এই ঘটনার বিরোধিতা করছি। দেশের আইন শৃঙ্খলার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। রাজধানীতেও চিকিৎসকরা সুরক্ষিত নন। তাহলে দেশে কি গৃহযুদ্ধ চলছে? গোটা বিশ্বের কাছে ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।’
রবিবার সন্ধে নাগাদ মুখে কালো কাপড় বেঁধে আচমকাই ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। সামনে যে আসে তাকেই ধরে মারধর করা হয়, সঙ্গে গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। এই তাণ্ডবে জেএনইউ-র ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐশী ঘোষ গুরুতর আহত হন। মাথা ফেটে যায় তাঁর।উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আসল অপরাধীদের এখনও অবধি গ্রেফতার তো করাই হয়নি, বদলে ঐশীর নামেই এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লী পুলিশ।