চলতি মরশুমে আইএসএলের প্রথম পর্বে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েও হারের আতঙ্ক থাবা বসিয়েছিল এটিকে শিবিরে। শেষ মুহূর্তে গোল করে ত্রাতা হয়ে ওঠেন কৃষ্ণ। শনিবার দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে খেলতে হবে। তাই যেন কিছুটা উদ্বিগ্ন হাবাস। তাই বড়দিনে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেই ছুটি কাটাতে এটিকে কোচ হাবাস গিয়েছিলেন মায়ানমারে। রয় কৃষ্ণ ছিলেন চেন্নাইয়ে। ডেভিড উইলিয়ামস সপরিবার দুবাই গিয়েছিলেন। তবে ছুটির মধ্যেও এটিকে কোচ নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন মুম্বই সিটি এফসিকে হারানোর রণকৌশল তৈরি করতে।
গতকাল সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে মুম্বইকে হারানোর প্রস্তুতি সেরেছেন স্পেনীয় কোচ। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে হাবাস বললেন, ‘‘মুম্বই ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। ওদের আক্রমণভাগ দুর্দান্ত। আমাদের রক্ষণকে যে কোনও মুহূর্তে সমস্যায় ফেলতে পারে। রক্ষণও একই রকম শক্তিশালী। ম্যাচটা একেবারেই সহজ হবে না।’’
তিনি আরও বললেন, ‘‘মুম্বইয়ের পাওলো মাচাদোকে দীর্ঘ দিন ধরেই চিনি। অসাধারণ ফুটবলার। ওর মতো ফুটবলারের জন্য খেলা আরও আকর্ষণীয় হয়।’’
এই মুহুর্তে লিগ টেবলের অবস্থান নিয়ে একেবারেই ভাবতে চান না প্রথম আইএসএলে এটিকে-কে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ। তাঁর লক্ষ্য মুম্বইকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে না দেওয়া। এই রণনীতিতে হাবাসের অন্যতম ভরসা হতে চলেছেন এক মুম্বইকর। তিনি, জয়েশ রানে।
প্রতিশ্রুতিমান ভারতীয় এই উইঙ্গারকে দুই স্ট্রাইকারের পিছনে খেলাচ্ছেন হাবাস। আইএসএলের অন্যান্য দলের কোচেরা এই জায়গায় বিদেশি ফুটবলারদের উপরেই আস্থা রাখছেন। ব্যতিক্রম হাবাস। এটিকে কোচের ব্যাখ্যা, ‘‘সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলার যোগ্যতা রয়েছে জয়েশের। গতি রয়েছে। বলের উপরে দারুণ নিয়ন্ত্রণ। আমার মতে দুই স্ট্রাইকারের পিছনে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডই ওর সেরা জায়গা।’’ অভিভূত জয়েশ সাংবাদিক বৈঠকে হাবাসের পাশে বসেই বললেন, ‘‘কোচ আমাদের মানসিকতা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। ওঁর দেখানো পথেই আমরা চলছি। এই কারণেই এ বারের আইএসএলে এটিকে অন্যতম ভারসাম্যযুক্ত দল।’’