সিএএ আইনের প্রতিবাদে গোটা দেশেই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হলেও, উত্তরপ্রদেশই এই বিক্ষোভের মধ্যে সবথেকে বেশি রক্তাক্ত হয়েছে। প্রতিবাদীদের উপর পুলিশের গুলি চালনায় ইতিমধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। যদিও পুলিশের তরফ থেকে গুলি চালনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে প্রতিবারই। এরই মাঝে পুলিশের উপর সরকারের রাশ আলগা করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে তেড়ে উঠলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তাঁর দাবি, নিজের গদি ঠেকাতেই পুলিশের উপর থেকে লাগাম ছেড়ে দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
শুধু তাই নয় সপা প্রধান অখিলেশ যাদব আরও দাবি করেছেন যে, ‘যে কোনও সময়ে সরকার পড়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন আদিত্যনাথ। ওনার কাজে কর্মে অসন্তুষ্ট রাজ্যের বিজেপি বিধায়করাই। তাই গদি হারানোর ভয়ে তটস্থ বিজেপি সরকার।’ সম্প্রতি এক ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন অখিলেশ। তাঁর কথায়, সিএএ আইনের প্রতিবাদে যেভাবে প্রতিবাদীদের রক্তে নিজের হাত রাঙিয়ে তুলছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তা নিঃসন্দেহে বেশ চিন্তার। মানুষ প্রতিবাদ করতেই পারে তবে সেই প্রতিবাদকে এভাবে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে থামানো, গণতান্ত্রিক দেশে এটা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, সিএএ আইনের পাশাপাশি বিজেপি সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজ্যের বহু বিধায়ক। কিছুদিন আগেই বিধানসভায় ধর্নাতে বসেন ১০০ জনেরও বেশি বিজেপি বিধায়ক। তাদের আবার সঙ্গ দেন বিরোধীরা। সব মিলিয়ে ২০০ ছাড়িয়ে যায় সংখ্যাটা। যার জেরে রীতিমতো চাপে ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এদিকে রাজ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ কুশল কিশোরও। সবমিলিয়ে দলের বাইরে এবং অন্দরেও চাপে পড়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।