দেশজুড়ে এনআরসি ও সিএএ বিরোধী হাওয়ার মধ্যেই বিজেপিকে পরাস্ত করে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় এসেছে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। গতকাল রবিবারই রাঁচির মোরাবাদী ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীদের মত দেশের তাবড় তাবড় বিরোধী নেতানেত্রীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হেমন্ত সোরেন। আর চেয়ারে বসেই এবার আদিবাসীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল হেমন্তের সরকার। বিজেপি সরকারের আমলের আদিবাসীদের বিরুদ্ধে পাথারঘরি আন্দোলনে সঙ্গে যুক্ত সব মামলা তুলে নিল হেমন্তের সরকার। এছাড়াও ছোটনাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট এবং সাঁওতাল পরগনা টেনান্সি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে হেমন্তের সরকার।
অভিযোগ পূর্বতন রঘুবর দাসের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সাঁওতাল পরগনা টেনান্সি অ্যাক্ট এবং ছোটনাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট ২০১৬-র মাধ্যমে আদিবাসীদের মনোভাবে আঘাত করেছিলেন। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় কোনও রকমের আলোচনা ছাড়াই আইনে সংশোধন করা হয়েছিল। এরপরেই রাজ্যে বড় ধরনের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। মূলত উন্নয়নমূলক কাজে জমি অধিগ্রহণ করা নিয়ে আইনে সংশোধনকে ঘিরেই আন্দোলন ছড়ায়। আইনের সংশোধনের বিরুদ্ধে জেএমএম বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে। এছাড়া গতবছরে ঝাড়খণ্ডে হওয়া পাথালঘরি আন্দোলনও হিংসাত্মক রূপ নেয়। এই আন্দোলনে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকাকে ভারত থেকে আলাদা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল।