একের পর এক রাজ্য থেকে এবার ক্ষমতা হারানোর পথে বিজেপি। অন্তত ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল তাই বলছে। আজ ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) জোট। আজ ভোট গণনার শুরু থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হয়েছিল। কিন্তু, বেলা যত গড়াতে থাকে ততই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকেই ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। আর তাতেই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায় পালাবদলের ইঙ্গিত। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১। সূত্রের খবর, ম্যাজিক ফিগার পার করেছে জোট।
এ দিন ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই জোট শিবিরের উল্লাসের ছবি দেখা গিয়েছে। কোথাও জেএমএম ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টিমুখ শুরু হয়ে যায়। আবার কোথাও বাজি পোড়াতে শুরু করেন কংগ্রেস ও জেএমএম সমর্থকরা। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলির বেশির ভাগই এ বার বিজেপির থেকে কংগ্রেস-জেএমএম জোটকেই এগিয়ে রেখেছিল। সমীক্ষা অনুযায়ীই এবার রাজ্যের একক গরিষ্ঠ দল হওয়ার পথে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের ছেলে নিজেও একবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এ বার ফের জিতেছেন তিনি। বারহাইত কেন্দ্র থেকে জয়ী ঘোষণা হয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ফের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন। জয়ের পর রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেমন্ত। পাশপাশি জোটসঙ্গীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
২০০০ সালে গঠিত ঝাড়খণ্ড রাজ্য গত মাসেই ২০ বছরে পা দিয়েছে। এটি রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা নির্বাচন। এ দিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট থেকে শিবসেনা সরে যাওয়ায় ক্ষমতা থেকেও সরতে হয়েছে বিজেপিকে। আর এবার ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা হারানোর পথে মোদী-শাহ গেরুয়া বাহিনী।