গত কয়েকদিন এনআরসি-সিএএ ইস্যুতে উত্তপ্ত গোটা দেশ। উত্তর-পূর্ব, বাংলার পর দিল্লী-উত্তরপ্রদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন। এমনকি সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের আঁচে জ্বলছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের খাসতালুক গোরক্ষপুরও। বিক্ষোভকারীদের মিছিল আটকাতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। পাল্টা প্রতিবাদী মিছিলের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশও। এদিকে কানপুরে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিয়ে চালিয়েছে পুলিশ। যার ফলে আহত হয়েছেন ৮ জন। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের ২০টি জেলায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
বৃহস্পতিবার বেলা বাড়তেই লখনউয়ের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। পুরনো লখনউ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি ঘটে। হুসেনগঞ্জ ও কুনেশ্বর এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে সামাল দিতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। সম্বল জেলায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিবাদীরা। লখনউ শহরে পুলিশ পোস্টের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা বিক্ষোভ লক্ষ্য করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে ২০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে লখনউ পুলিশ।
এরপর ফের আজ বেলা বাড়তেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় যোগীর খাসতালুকে। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে বিপর্যন্ত হয় গোরক্ষপুর, বাহরাইচ-সহ একাধিক এলাকা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিল। কিন্তু পুলিশ তাঁদের উপর হামলা চালায়। রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভকারীদের বেধরক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে পুলিশের পাল্টা দাবি, তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছিল বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা তাঁদের হঠাতেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ।