ক্যাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল গোটা বাংলা। বিভিন্ন জায়গায় চলছে অবরোধ। বন্ধ ট্রেন চলাচল। শোচনীয় অবস্থা উত্তরবঙ্গের। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার দরুণ সেখানে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার মন্ত্রী এনজেপি স্টেশনে গিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করে অভয় দিলেন। বললেন, ‘উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। রাজ্য সরকার ও তৃণমূল পাশে রয়েছে আপনাদের।’
উত্তরবঙ্গে এসে আটকে পড়ছেন বহু পর্যটক। একইভাবে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও। এর সঙ্গে শীতের রাতে শুরু হয়েছে বাড়তি দুর্ভোগ। স্টেশনে স্টেশনে আটকে পড়েছেন যাত্রীরা। কারও আগে থেকে রিজার্ভেশন করা রয়েছে। অনেকে চিকিৎসার জন্য এসে মাঝপথে আটকে পড়েছেন। এনজেপি স্টেশনে এমন যাত্রীর সংখ্যা অনেক। শীতের মধ্যে কার্যত খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছেন তাঁরা। স্টেশনে পড়ে রয়েছেন, কখন ট্রেন ছাড়বে সেই অপেক্ষায়। বারবার স্টেশন মাস্টারের ঘরে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন যাত্রীরা। কিন্তু কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। তাই তাঁদের পাশে থাকতেই এগিয়ে এসেছেন গৌতম।
পর্যটনমন্ত্রী এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করার পর আটকে পড়া পর্যটকদের দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন এবং যাতে ঠিকঠাক তাঁরা ঘরে পৌঁছোতে পারেন, তার জন্য নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের। পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন পর্যটনমন্ত্রী নিজেই। মন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি এনআরসি এবং সিএএ আনায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ট্রেন–বাসে আগুন জ্বালানো, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা— এ সব কোনওভাবেই মানা যাবে না। কড়া ব্যবস্থা নেবে রাজ্য।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে, যাত্রী, পর্যটকরা যেন বিপদে না পড়েন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। গৌতম দেব এদিন আটকে পড়া পর্যটকদের বলেন, ‘নিরাপদেই আপনাদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে।’ মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে খুশি পর্যটকরা। এখন তাঁরা ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিনও এমন কমবেশি ৫০ জন যাত্রীকে কলকাতা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তিনটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সহযোগিতায় ছিলেন শ্রমিক সংগঠন নেতৃত্ব। পাশাপাশি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারের উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।