শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেও সংসদে তাঁর টিকিটিও দেখা যায়নি। বিরোধী নেতা-নেত্রীরা প্রায় সকলেই সেদিন হন্যে হয়ে খুঁজেছিলেন ‘নিখোঁজ’ নরেন্দ্র মোদীকে। এবার গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশের সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিত ছিলেন কেন? তা নিয়ে সুর চড়াল তৃণমূল। মোদী সরকারকে অহংকারী, দাম্ভিক, উদ্ধত বলেও অভিযোগ করল তারা।
শুধু তাই সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর সংবাদ সম্প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১১ তারিখ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলিকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রক যে ‘অ্যাডভাইসরি’ পাঠিয়েছে, তাকে সুপার ইমারজেন্সি বলেও তোপ দাগল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
অন্যদিকে, দলের লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন। একই দাবিতে পৃথকভাবে মামলা দায়ের করেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশও।
সোমবার লোকসভা, বুধবার রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সম্মতি দিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর ওই সম্মতিসূচক স্বাক্ষরের পর সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল এখন আইন। কিন্তু এই আইন বাংলায় কার্যকর করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে অশান্ত উত্তর-পূর্বের খবর সম্প্রচার আটকাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে যেভাবে অ্যাডভাইসারি পাঠানো হয়েছে, তা সুপার ইমারজেন্সি। এভাবে সংবাদ পরিবেশনের উপর সতর্কবার্তা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, বিল এনে দেশকে অশান্ত করলেন আর নিজেই ভোটভুটিতে অংশ নিলেন না মোদী। সরকার যে কতটা উদ্ধত, অহঙ্কারী, কারও কথা শুনতে চায় না এর থেকেই তা প্রমাণ হয়ে যায়। ডেরেকের দাবি, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে সংসদকে অপমান করতে পারে না। তাই সংসদের শীতকালীন অধিবেশন আজ শেষ হলেও উল্লেখিত বিষয়গুলি নিয়ে তৃণমূল রাস্তায় নামবে বলেই ঠিক করেছে।