সোমবার লোকসভায় প্রায় ৭ ঘণ্টার হই-হট্টগোলের পর মধ্যরাতে পাশ হয়েছিল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(ক্যাব)। আর তারপর দীর্ঘ বিতর্ক-আলোচনা চলার পর অবশেষে বুধবার রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যায় তা। তবে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার পর থেকেই জ্বলছে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশ। যেমন ক্যাব নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আসাম। জনজাতিদের বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলন ও ধর্মঘটের জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানে। অবরোধের ফলে বিচ্ছিন্ন গোটা দেশের সঙ্গে আসামের রেল ও সড়ক যোগাযোগও। গুয়াহাটিতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত নর্থইস্ট ইউনাইটেড ও চেন্নাইয়িন এফসির ফুটবলারেরা।
এই মুহূর্তে গুয়াহাটির অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আইএসএলে বৃহস্পতিবারের নর্থইস্ট বনাম চেন্নাইয়িন ম্যাচ। দু’দলের ফুটবলার ও অন্যান্য সদস্যদের হোটেলের বাইরে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। সব চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চেন্নাই শিবিরের। এ দিন সকালে ম্যাচ বাতিলের খবর পেয়ে ফুটবলারেরা স্বস্তি পেয়েছিলেন। আশা করেছিলেন, দুপুরের মধ্যেই গুয়াহাটি ছেড়ে বেরোতে পারবেন। চেন্নাই কর্তারাও চেষ্টা করেছিলেন, পুরো দলকে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু তাঁদের যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে।
নর্থইস্ট শিবিরে বিদেশি ও ভিনরাজ্যের ফুটবলার মিলিয়ে মোট বারো জন রয়েছেন। তাঁরাও মরিয়া গুয়াহাটি ছাড়তে। বলছিলেন, ‘‘বুধবার বিকেলে অনুশীলন করে স্টেডিয়াম থেকে হোটেলে ফেরার সময় রাস্তায় সেনাবাহিনীর টহল দেখেছি। কিন্তু ভাবতে পারিনি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবস্থার এতটা অবনতি হবে।’’ আরও বললেন, ‘‘পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানে না। এই অবস্থায় গুয়াহাটিতে ম্যাচ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অনুশীলনও করতে পারব না। হোটেলেই বন্দি থাকতে হবে। তা হলে এখানে থেকে কী করব?’’ শুধু ফুটবল নয়, অশান্তির প্রভাবে বন্ধ ক্রিকেটও। বাতিল হয়ে গিয়েছে রঞ্জি ট্রফির দুটি ম্যাচ।