লাভপুর খুনের মামলায় হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন মুকুল রায়। এই রায়ের চার্জশিটে নাম আসার পরই তড়িঘড়ি আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির এই নেতা। কিন্তু এদিন হাইকোর্টে মুকুলের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে । আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুকুল যে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন, তাতে ত্রুটি ছিল। এবং ত্রুটিপূর্ণে আবেদনের ভিত্তিতে জামিন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। মুকুল রায়কে বলা হয়েছে, নতুন করে আগাম জামিনের আবেদন করতে হবে। তা হলে সেটা খতিয়ে দেখবে আদালত।
প্রসঙ্গত, রবিবারই খুনের চার্জশিটে নাম আসে বিজেপির অন্যতম নেতা মুকুল রায়ের। এই চার্জশিট জমা দেয় লাভপুর পুলিশ। মুকুল রায়ের সঙ্গেই এই চার্জশিটে নাম জুড়েছে বোলপুরের তৎকালীন বিধায়ক মনিরুল ইসলামের। এই দুই নেতার নাম জড়িয়ে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে অন্য মোড় নিয়েছে। অন্যদিকে এই দুই নেতার নাম জড়াতেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি। এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ তৃণমূলের কারসাজি বলেই দাবি করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও এই অভিযোগকে অস্বীকার করে তৃণমূল।
২০১৪ সালে ৪ জুন খুন হয় তিন জন সিপিএম কর্মী। এই তিনজনেই ছিল সম্পর্কে ভাই। তরুক শেখ, ধানু শেখ ও কুটুন শেখকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল মনিরুল ইসলামের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।। এই খুনের চার্জশিটে ৫২ জনের নামে জমা দিয়েছিল পুলিশ। পরে মৃত ভাইয়ের দাদা এই মামলা তুলে নিলেও ফের মামলা করেছিল মৃতদের মা। সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। তিনমাসের মধ্যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপরেই এই নতুন চার্জশিটে নাম ওঠে মুকুল রায়ের।