বেপরোয়া গাড়ি চালানো, কিংবা ভুলের কারণে পথ-দুর্ঘটনা লেগেই আছে। সেই প্রবণতা কমাতে এবার উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। হাইওয়েগুলি অডিট করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। সম্প্রতি জাতীয়, রাজ্য এবং জেলা সড়কগুলি সমীক্ষা করে দেখতে পূর্ত দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সমীক্ষার পর এই সড়কগুলির দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হবে। সেই এলাকাগুলিতে যাতে আর দুর্ঘটনা না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে সংস্থার দায়িত্বে এই সড়কগুলি থাকবে, তাকেই দুর্ঘটনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইতিমধ্যেই সারা রাজ্যে ১২০০ ব্ল্যাকহোল বা অতিদুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়ে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই জায়গাগুলিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পথ–দুর্ঘটনা ঠেকাতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মদ্যপান করে, মোবাইল কানে নিয়ে যাতে গাড়ি চালানো না হয় তার জন্য চালকদের সতর্ক করা হয়েছে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় রাস্তায় স্পিড ব্রেকার লাগানো হয়েছে। ব্রেথ অ্যানালাইজার, গাড়ির গতি মাপার যন্ত্র ব্যবহার–সহ রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের তরফে ট্রাফিক ব্যবস্থার অনেক আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। গাড়ি চালকদের সতর্ক করতে এই উদ্যোগে প্রায়ই শামিল হয় স্কুল পড়ুয়ারাও। বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে প্রশংসিত হয়েছে এই প্রকল্প। তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এ রাজ্যে দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের হার কমে গিয়েছিল। সম্প্রতি দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের রোড সেফটি কমিটির বৈঠক হয়েছিল। অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা, পরিবহণ দপ্তরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম উপস্থিত ছিলেন। এ রাজ্যে পথ–দুর্ঘটনা ঠেকাতে কী, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।