ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। দেশের নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়েছে। হায়দ্রাবাদ কাণ্ডের অপরাধীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবির মধ্যেই গতকাল পুলিশের এনকাউন্টারে মারা যায় চার অভিযুক্ত। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে আদালতে শুনানিতে যাওয়ার পথে ধর্ষিতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আজ সকালে মারা যায় তিনি। এরই মধ্যে সেই উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। তাঁর টুইটার হ্যান্ডল থেকে সেঙ্গারকে শুভকামনা জানালেন তিনি। যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
বিজেপির এই সাংসদ এবং বিধায়কের মধ্যে সখ্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। লোকসভা নির্বাচনের সময় সীতাপুর জেলে বন্দি সেঙ্গারের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন সাক্ষী মহারাজ। সমর্থনের জন্য ধন্যবাদও জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেছেন উন্নাওয়ের সমাজবাদী পার্টির এমএলসি সুনীল সিং সজন। তিনি বলছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার যোগী আদিত্যনাথের প্রতিনিধি। এদিকে সাংসদ সাক্ষী মহারাজ নরেন্দ্র মোদীর প্রতিনিধি। এরাই হল বিজেপির আসল মুখ। ধর্ষণে অভিযুক্তকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন এমন একজন যিনি উন্নাওয়ের হয়ে সংসদের প্রতিনিধি। তাও আবার এমন দিনে যখন এখানকার এক ধর্ষিতার গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
কংগ্রেস মুখপাত্র রাজীব ত্যাগীও বিজেপি শিবিরকে একহাত নিয়ে বলেন, বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব ধর্ষক এবং ধর্ষণে অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা একই রকম বিষয় নিত্যানন্দের ক্ষেত্রে দেখেছিলাম। এবার উন্নাওয়ের সাংসদের ঘটনা বিজেপির নারী-বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করে দিল। যখন ক্ষমতায় আসীন নেতা ধর্ষণে অভিযুক্তকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানায় তখন নিঃসন্দেহে দুষ্কৃতীদের মনোবল বাড়ে। এইরকম কাণ্ডে রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।