লোকসভা ভোটের পরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর মোহ এখন প্রায় ফিকে। বারবার সামনে আসা দলীয় কোন্দলের জেরে ল্যাজেগোবরে দশা বিজেপির। তারওপরে উপ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। তাই ফেরার পালা চলছে মমতার আশ্রয়ে। এবার কোচবিহারের দিনহাটা দু’নম্বর ব্লকের শালমারা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৬০০ জন বিজেপি কর্মী বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিষ্ণুব্রত বর্মন।
বিজেপি যুব মোর্চার মেম্বার পদে থাকা তপন বর্মন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি দল থেকে সরে আসছিলেন এই শালমারা অঞ্চলের প্রধান সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা। এনআরসি সংক্রান্ত কারণেও বিজেপির প্রতি তাদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দিনে দিনে। সম্প্রতি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঠনকে কেন্দ্র করে যে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় নাম জড়ায় তপন বর্মনের। আজ এই তপন বর্মনের নেতৃত্বে শালমারা অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৬০০-র বেশি বিজেপি কর্মী তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
তপন বর্মনের কথায়, বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে শালমারা-সহ নাজিরহাট অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য হবে তাদের। বিজেপি কী করছে, না করছে সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। তবে তাদের এনআরসি’র মত জনবিরোধী নীতি মানুষকে বিপদে ফেলছে। জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা এই বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, তপন বর্মনকে হুমকি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দলে যোগদান করিয়েছে। সঙ্গে হয়তো কোনও বড় পদের লোভ দেখানো হয়েছে তাকে। এই দল বদলের ফলে শালমারা অঞ্চলে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।
বিষ্ণু বর্মন বলেন, এই পঞ্চায়েত সদস্যরা লিখিত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাদের দলে নেওয়া হয়েছে।