রাজভনে আটকে রয়েছে বিল। তাই মঙ্গলবারই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন বুধ ও বৃহস্পতিবার মুলতুবি থাকবে বিধানসভার অধিবেশন। কিন্তু এর মধ্যেই বুধবার জানা গেল, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান আসতে চাইলেন বিধানসভায়। রাজভবনের সচিবালয় থেকে চিঠি এসেছে বিধানসভায়। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় আসতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
জগদীপ ধনকড় বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকেই গত তিনমাসে একাধিক সংঘাত হয়েছে রাজভবন আর নবান্নের। এবার তাতেই নতুন সংযোজন, বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত। তিনটি বিল রাজভবন অনুমোদন দেয়নি বলে বুধ ও বৃহস্পতিবারের বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়। রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে পাল্টা বলা হয়, অবাস্তব কথা বলা হচ্ছে। ব্যাপারটা একেবারেই তা নয়।
মঙ্গলবার বিকেলবেলা অধিবেশন স্থগিতের খবর জানা যায়। এর সওয়া ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনের তরফে পাল্টা বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, রাজভবন কোনও বিল আটকে রাখেনি। বিলগুলি যাতে দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন দেওয়া যায় তার জন্য অগ্রাধিকার দিয়েই কাজ করা হয়েছে। কিন্তু যে দফতরের বিল সেই সংশ্লিষ্ট দফতরের থেকে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তারা সেই তথ্য দিতে দেরি করাতেই এই বিলম্ব । জানা গিয়েছে, এসটি-এসসি কমিশন ও শিক্ষা সংক্রান্ত তিনটি বিল অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠানো হয়েছে।
শুধু বিবৃতি দিয়েই থেমে থাকেনি রাজভবন। এদিন রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন, ‘রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদ। এটি সরকারের রাবার স্ট্যাম্প নয় যে কিছু না দেখেই সই করে দেবে।’ অনেকেই মনে করছেন, এই সংঘাতের মধ্যে রাজ্যপালের বিধানসভায় আসতে চাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।