২০২০ সালের ১ জুন থেকেই গোটা দেশজুড়ে চালু হচ্ছে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান। আর তাঁর ঘোষণা মাত্রই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায় এর প্রতিবাদ করেন।
কল্যাণ বলেন, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩-র আগে সবাই ভর্তুকিযুক্ত রেশন পেত। খাদ্য সুরক্ষা আইনের পর দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলি ভর্তুকিযুক্ত রেশন পান। বিপিএল পরিবারের বাইরে থাকা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, রাজ্য যদি মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে ভর্তুকি দিতে চায়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’ নীতি কীভাবে প্রণয়ন করতে পারে?
আরেক তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় আবার ২০১১ সালের আর্থ সামাজিক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো সব সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিত। বিপিএল কার্ডের মাধ্যমেই দারিদ্র দূরীকরণে সরকারি প্রয়াস সম্ভব। কিন্তু বিপিএল কার্ড সঠিক না হলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, কোনওটাই মেলে না।
উল্লেখ্য, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ওই রেশন কার্ডের সাহায্যে দেশের যে কোনও প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্ত থেকে রেশন তুলতে পারবেন। এর জন্য লাগবে আঙুলের ছাপ ও আধার কার্ড। এ জন্যে রেশন দোকানগুলিতে বসাতে হবে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল মেশিন বা পস মেশিন। একইসঙ্গে রাখতে হবে পণ্য মজুত ও খরচের হিসেব রাখার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাও। এ নিয়েও সংঘাত বেঁধেছে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে।