দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই রেল-সহ দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণ করতে উঠেপড়ে লেগেছিল মোদী সরকার। তখন থেকেই সরব তৃণমূল। বিলগ্নীকরণের বিরুদ্ধে একাধিক বার মুখ খুলেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কীসের ভিত্তিতে দেশের ২৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নীকরণ করতে চাইছে সরকার? এবার তা জানতে চেয়ে রাজ্যসভায় দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব জমা দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন এই নোটিস জমা দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে।
প্রসঙ্গত, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বিলগ্নীকরণ করা হবে। অর্থাৎ আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া, বেঙ্গল কেমিক্যালস, সেইল–এর দুর্গাপুর ডিভিশন এবং ভারত পেট্রোলিয়াম-সহ মোট ২৮টি সংস্থা বেসরকারি হাতে চলে যাবে। এর প্রতিবাদে সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার সময় সর্বদলীয় বৈঠকে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। আজ, সোমবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাব চেয়ে সরব হবেন তৃণমূল সাংসদরা। জবাব না মিললে এক সপ্তাহ ধরে দাবি জানানো হবে।
রবিবার ডেরেক বলেন, ‘মোদী সরকার বেচো ইন্ডিয়া প্রকল্প হাতে নিয়েছে। একে একে সব সংস্থা বিক্রি করে দেশটাকেই বিক্রি করে দিতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই চালাচ্ছে তৃণমূল। সংসদে নোটিস দেওয়া হয়েছে। দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাব এনে মন্ত্রীর জবাব চাওয়া হবে। জবাব না দিলে পরবর্তী কর্মসূচী ঠিক করা হবে।’ উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর জানান, নীতিগতভাবে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে ১৭,৩৬৪ কোটি টাকা এসেছে।