বিএসএনএলের আর্থিক সঙ্কটের জেরে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না ঠিকা কর্মীরা। অভাবের তাড়নায় দিন চলছে না অনেকেরই। বিক্ষোভে নেমেছেন একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে ওই ঠিকা কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিএসএনএল নিয়ে কেন্দ্রের টালবাহানা অনেকদিন ধরেই অব্যাহত। এই অবস্থায় পাশে থাকা তো দূর, বিএসএনএলের অস্থায়ী ঠিকা কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানোর দায় যে সরকার বইবে না, বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্র। রাজ্যসভায় টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, বিএসএনএল ও এমটিএনএলের ঠিকা কর্মীরা ঠিকাদারদের অধীনে কাজ করেন। ফলে তাঁদের বেতন দেওয়ার কথাও ঠিকাদারদেরই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘোষণায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ওই কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটাতে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটিকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিএসএনএলের একাংশেরও ব্যাখ্যা, তারা ঠিকা কর্মীদের নিয়োগ করে না। তাই তাঁদের বেতনের দায়িত্ব সরাসরি সংস্থার উপরে পড়ে না। ফলে এ বার প্রশ্ন উঠেছে, ঠিকাদারদেরই পাওনা টাকা বকেয়া থাকলে সমস্যা মিটবে কী করে? সংস্থা সূত্রের দাবি, সে ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থাগুলি বকেয়ার জন্য আর্জি জানাতেই পারে।