রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল। তৃণমূলের বিজয় উদযাপন করল পূর্ব বর্ধমান জেলা জয় হিন্দ বাহিনী। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জয়জয়কার এবং এনআরসি–র প্রতিবাদে মহামিছিল হল পূর্ব বর্ধমানে। এই মহামিছিল শুরু হয় বর্ধমান টাউন হল ময়দান থেকে। জিটি রোড ধরে কার্জন গেটের সামনে দিয়ে শেষ হয় বর্ধমান স্টেশনে। এই মহামিছিলে নেতৃত্ব দেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা কো–অর্ডিনেটর দেবু টুডু।
মিছিল যত এগিয়েছে, ততই দেখা গেছে মানুষের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। দেবু টুডুর সঙ্গে পা মিলিয়েছেন জয় হিন্দ বাহিনীর তরুণ সৈনিকরা। ছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষও। তাছাড়া জানা গেছে, ১ ডিসেম্বর পূর্ব বর্ধমান জেলায় জয় হিন্দ বাহিনীর প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে। প্রথম জেলা সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জয় হিন্দ বাহিনীর রাজ্য চেয়ারম্যান কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বাংলায় এনআরসি নিয়ে বিজেপি আতঙ্কের ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ বিজেপি–কে গো–হারা হারিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন এ রাজ্যে এনআরসি–র কোনও স্থান নেই। বিজেপিকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে পারে তৃণমূলই।
এদিন মিছিল শেষে স্টেশনের সামনে এক সভায় তৃণমূলের জেলা কো–অর্ডিনেটর দেবু টুডু বলেন, “রাজ্যের তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি যেভাবে পরাজিত হয়েছে, তাতে বাংলার মানুষ এনআরসি–র বিরুদ্ধে প্রকৃত জবাব দিয়েছেন। এই জবাব রাতের অন্ধকারে মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে খুন করে দেওয়ার জবাব”।