বুধবার গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমী’ আখ্যা দিয়েছিলেন প্রজ্ঞা। যার জেরে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। সংসদে তা নিয়ে যে এদিন ঝড় উঠবে তা প্রত্যাশিতই ছিল। সেইমতো বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুতেই শাসক বিজেপিকে চেপে ধরে বিরোধীরা। প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে তুমুল হট্টগোল দেখায় তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নিন্দামূলক বিবৃতিও গডসে বিতর্ক সামাল দিতে পারল না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ দেখাল বিরোধীরা। পরে মধ্যপ্রদেশের সাংসদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হবে জানিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে তৃণমূল, বাম, এনসিপি, ডিএমকে, এআইএমআইএম-সহ অন্যান্য বিরোধীরা।
রাজনাথের বিবৃতিততে অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে। পরে রাহুল গান্ধী প্রজ্ঞাকে ‘জঙ্গী’ আখ্যা দেন এবং প্রজ্ঞার এহেন মনোভাবই বিজেপি ও আরএসএসের ‘হার্ট অ্যান্ড সোল’। প্রজ্ঞা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও নাম জড়িয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। দলের সহ সাংসদের বিরুদ্ধে মোদী ব্যবস্থা না নেওয়াতেই গডসে নিয়ে প্রজ্ঞার এই ধারণা বলে সরব হয়েছে তারা।
আরও একধাপ এগিয়ে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘দেশ সেবার জন্য কংগ্রেসের হাজার হাজার সদস্য আত্মবলিদান দিয়েছেন। অথচ, কী করে এরকম মন্তব্য করার সাহস পান তিনি! আমরা পদক্ষেপ দাবি করছি।’ এরপরেই এউপিএ শরিকদের নিয়ে প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হবে বলে ঠিক করেছে কংগ্রেস।