অবশেষে গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য লোকসভায় ক্ষমা চাইলেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তবে ভেঙে পড়লেও একেবারে মচকাননি তিনি। লোকসভায় তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলায়, রাহুল গান্ধীকেও একহাত নিয়েছেন সাধ্বী। যদিও ভোপালের সাংসদকে লোকসভা থেকে বরখাস্তের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা।
সাধ্বী প্রজ্ঞার মন্তব্যের জন্য লোকসভায় সেন্সর মোশন আনার দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দল। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। সাধ্বীকে বরখাস্তের দাবিতে লোকসভায় স্লোগান ওঠে, ‘মহাত্মা গান্ধী অমর রহে’, ‘ডাউন, ডাউন গডসে’। শোরগোলের মাঝেই সাধ্বী উঠে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মন্তব্য কারওকে আঘাত করলে ক্ষমা চাইছি। সংসদে আমার বলা কথাগুলির অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী দেশের জন্য লড়াই করেছেন। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি।’
প্রসঙ্গত, বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষে এসিপিজি বিল নিয়ে আলোচনার সময় তিনি ফের বলেন, ‘নাথুরাম গডসে এক জন দেশভক্ত।’ অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী এক জন দেশপ্রেমিক। যদিও স্পিকার তাঁর এই কথা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিয়ে দেন। তবে এ দিন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য প্রসঙ্গে তোপ দেগে সাধ্বী বলেন, ‘আমাকে সন্ত্রাসবাদী বলাটা রাহুল গান্ধীর উচিত হয়নি। এটা আমার সম্মানকে আঘাত করে। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি। তাই আমার কাছে ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। গডসে নিয়ে মন্তব্য করায় বৃহস্পতিবার সেই পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করার প্রস্তাব দেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির সংসদীয় বৈঠকেও যোগ দেবেন না ঠাকুর।’