রাতের অন্ধকারে অজিত পাওয়ারের ‘বিশ্বাসঘাতকার’ সুযোগ নিয়ে রাতারাতি সরকার গড়েছিল বিজেপি। তবে
২৪ ঘন্টার মধ্যেই লাইভ ফ্লোর টেস্ট করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই নির্দেশ আসার পরই রণে ভঙ্গ দিয়ে ক্ষমতার লড়াই ছেড়ে বেরিয়ে যায় তারা। আর এরপরই পূর্ব ঘোষণা মতো জোট করে সরকার গঠন করে কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা। সর্বসম্মত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী হন সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তবে কুর্সিতে বসলেও যোগ্যতার প্রমাণ এখনও দেওয়া হয়নি ঠাকরের। আগামীকাল সেই প্রমাণই দেবেন তিনি। অর্থাৎ নির্বাচনের প্রায় দেড়মাস পর শনিবার প্রথম আস্থাভোট হতে চলেছে মারাঠাভূমে।
এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করার পর শুক্রবার ‘সরকার’ হিসাবে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিলেন উদ্ধব ঠাকরে। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ মাতশ্রী ভবন থেকে বের হন উদ্ধব। এরপর হুতাত্মাচকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যান তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের সচিবালয়ের গিয়ে সমস্ত দায়িত্ব বুঝে নেন। গোটা সফরে উদ্ধবের ছায়াসঙ্গী হিসাবে ছিলেন তাঁর পুত্র তথা বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে। পাশাপাশি, শুক্রবার প্রোটেম স্পিকারও বদল হল মহারাষ্ট্রে। এর আগে রাজ্যপালের অনুমোদনে প্রোটেম স্পিকার হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির কালিদাস কোলাম্বকর। শপথ গ্রহণের পালা মিটতেই আজ মহারাষ্ট্র বিধানসভার নয়া প্রোটেম স্পিকার হলেন এনসিপির বিধায়ক দিলীপ পাতিল।