মহারাষ্ট্রে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর, এ রাজ্যের ৩ কেন্দ্রে হওয়া উপনির্বাচনেও যারপরনাই পর্যুদস্ত হয়েছে পদ্মশিবির। তা দেখেই এবার মমতার ভবিষ্যৎ বাণী, আসন্ন ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনেও হারবে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশে দেখা যায় বিজেপিকে কার্যত ধরাশায়ী করে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। এরপরই নবান্নের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় বিজেপি ঝাড়খন্ডেও হারবে। এই বিধানসভা নির্বাচনে আমি এমনই ইঙ্গিত পাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন করার বার্তা দিয়েছিল অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (এজেএসইউ)। এই শরিক সরে যাওয়ায় বেশ চাপে রঘুবর দাসের সরকার। এমনিতেই মহারাষ্ট্রে মরিয়া চেষ্টা করেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। ৮০ ঘণ্টার মাথায় পড়ে যায় দ্বিতীয় ফডনবিশ সরকার। তাই ঝাড়খণ্ডে ফের পদ্ম ফুটবে কি না সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।
যদিও গত লোকসভা ভোটেও ছবিটা ছিল অন্যরকম। ঝাড়খণ্ডে শরিক দল এজেএসইউ-এর জোট সরকারে নিশ্চিন্তই ছিল বিজেপি হাইকম্যান্ড। কিন্তু, চিত্রনাট্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে চলতি মাসের শুরুতে। আসন্ন নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সংঘাতে জড়ায় বিজেপি এবং এজেএসইউ। এজেএসইউ প্রধান সুদেশ মাহাতো জানিয়েও দেন এই নির্বাচনে একাই লড়বে তাঁরা। আর এরফলেই রক্তচাপ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
এই পরিস্থিতিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা। গতকাল তিনি বলেন, ‘বাংলাকে কিছুতেই ভাগ হতে দেব না। এনআরসি নিয়ে সারা দেশে বিজেপি যা শুরু করেছে সেটারই জবাব দিয়েছে সাধারণ মানুষ।’ উপনির্বাচনে এই জয়কে বিজেপির পতনের শুরু বলেই মনে করছেন তৃণমূলনেত্রী।