ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় বাংলা অনেকটাই আলাদা। বাকি রাজ্যে যেই স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করে নির্বাচন জেতা যাচ্ছে, তা কখনই সম্ভব নয় বাংলায়। কেননা গোটা দেশের তুলনায় বাঙালি সর্বদাই রাজনৈতিকভাবে বেশি বিচক্ষণ। আর ধর্ম, ভেদাভেদ বা পাক বিরোধিতার লাড্ডু খাইয়ে কখনই তাদের ভোট আদায় করে নেওয়া যাবে না। বরং এ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে হলে আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে। আলাদাভাবে ছক বেঁধে রাজনীতি করতে হবে। মোদী-শাহ জুটি যেই উগ্রতা নিয়ে প্রচার করে হিন্দি বলয়ে প্রচার করে সাফল্য পাচ্ছেন, তা এখানে কাজ করবে না। তিন বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে পদ্মশিবিরের শোচনীয়ভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার পর টুইটারে এমনই মন্তব্য করেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতা চন্দ্রকুমার বসু।
চন্দ্র বসুর পরবর্তী টুইটেও বিষোদগার উঠে এসেছে তাঁর রাজনৈতিক দলের প্রতি। তিনি লিখেছেন, ‘শুধু ভোট ব্যাঙ্ক বা রাজনৈতিক জয়ধ্বজা ওড়ানোর জন্য নয়, বাংলার প্রাথমিক পরিকাঠামো এবং উন্নয়নের জন্যই কাজ কাজ করা উচিত বিজেপির। এখানে ভাঁওতাবাজি চলবে না কারণ বাংলার মানুষ রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি বিচক্ষণ এবং তীক্ষ্ণ।’
এই প্রসঙ্গে টুইটারে বিজেপি নেতা সাফ করেছেন নিজের অবস্থান। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং স্বামী বিবেকানন্দের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সঙ্গে লিখেছেন, ‘দলীয় ব্যবস্থাকে ঝেড়ে মুছে সাফ করা এবং বাংলার জন্য আলাদা রণনীতি তৈরি করা আবশ্যক হয়ে উঠেছে বিজেপির জন্য।’ এরপরই তাঁর সতর্কবার্তা, ‘ভারত দখল করার পরিকল্পনা কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দ এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মভূমি বাংলাতে সফল হবে না।’