কালিয়াগঞ্জ এতদিন ছিল কংগ্রেসের দখলে। আর খড়গপুর প্রথমে কংগ্রেসের দখলে থাকলেও পড়ে তা ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই দুইটি কেন্দ্রই রয়ে গিয়েছিল অধরা। কিন্তু আজ উল্টে গিয়েছে পাশা। আজ উপনির্বাচনের ফলে দেখা গেল, এই দুটি কেন্দ্রেই প্রথমবার ফুটেছে ঘাসফুল। করিমপুরেও জয় প্রায় নিশ্চিত। এই আবহেই বিজেপিকে নিশানা করলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে মানুষ। এনআরসি জুজু দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’ পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের ‘দুধে সোনা’ মন্তব্য উদ্ধৃত করে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষও করেছেন ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায় ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। করিমপুরেও বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে তারা। ওই কেন্দ্রেও জয় নিশ্চিত। দিলীপ ঘোষের হাত থেকে খড়গপুর ছিনিয়ে আনতেও সক্ষম হয়েছে ঘাসফুল শিবির। ফলাফলে উজ্জীবিত ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে মানুষ। প্রগতিকে বিশ্বাস করে। লোকসভা নির্বাচনে দেশভক্তির আবেগ আনা হল। মিথ্যাচার করা হল।’ গরুর দুধে সোনা থাকে বলে মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদের খোঁচা, দুধে যে সোনা পায়, তাঁকে এখন মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।
লোকসভা ভোটে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তার ৬ মাস কাটতে না কাটতে কেন এই পরাজয়? ফিরহাদের কথায়, ‘জাতীয় সংস্থা বিক্রি করা হচ্ছে। পুঁজিবাদের হাতে দেওয়া হচ্ছে দেশকে। এনআরসি করে মানুষকে দেশচ্যুত করার পরিকল্পনা চলছে। এটা মানুষ বিরোধী সরকার। ভুয়ো দেশভক্তি দেখিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে, তাই তারা উপনির্বাচনে জবাব দিয়েছে।’ তাঁর সাফ কথা, ‘একটা মাত্র লোকসভা ভোট দেখিয়ে তৃণমূলকে হারানো যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের নেত্রী। তিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন, তার প্রমাণ দেখিয়ে দিলেন। এটা মানুষের জয়, গণতন্ত্রের জয়। ভোট দিয়ে বিজেপিকে বাতিল করতে চাইছে মানুষ।’