ভোগান্তির শেষ নেই পেনশনভোগীদের। এই বৃদ্ধ সময়েওগ্রামাঞ্চলে তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট দিতে ছুটতে হচ্ছে ট্রেজারিতে। কারণ এই দায় বেশ কিছু ব্যাঙ্কের শাখা নিতে চাইছে না। এতেই ভোগান্তি বাড়ছে পেনশনভোগী মানুষদের৷ কো–অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সরকারি পেনশনার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক সত্য বসুর অভিযোগ, “লাইফ সার্টিফিকেট ট্রেজারিতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে না। দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে পেনশনভোগীদের ওপর”।
গ্রামাঞ্চলে বাড়ি থেকে দীর্ঘ ১৫/২০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে নিজের বেঁচে থাকার প্রমাণ দেওয়ার পর তাঁরা যখন ভাবছেন এ বছরের মতো রেহাই পাওয়া গেল, তখনই ঘাড়ে নতুন বোঝা চাপছে। পেনশনভোগীদের অভিযোগ, ব্যাঙ্কে গিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত হতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর কোনও একজনের ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ প্রক্রিয়া শুরুর সুযোগ এল। তখনই দেখা গেল বিকেল ৪টে বেজে গেছে।
পেনশনভোগীদের বক্তব্য, নিত্য নতুন নিয়ম বদলাচ্ছে। তাই ব্যাঙ্কে কোনও সহায়তা ডেস্ক থাকলে সুবিধা হত। রাজ্য পেনশনার্স সমিতি সূত্রে খবর, ফ্যামিলি পেনশনের ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে অন্য সমস্যা হচ্ছে। কোনও পরিবারের কর্তা প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী ফ্যামিলি পেনশনের যোগ্য। তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে বলা হচ্ছে ন্যূনতম পেনশন নিতে। অথচ তাঁরা ৩০ শতাংশ হারে পেনশন পাওয়ার যোগ্য। এছাড়াও নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সাধারণ মানুষগুলো।
রাজ্য সরকারি পেনশনার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক সত্য বসু জানিয়েছেন, নিয়মের সরলীকরণ করলে অনেক সুবিধা হত। কারণ লাইফ সার্টিফিকেট দিতে যে সব পেনশনভোগী যান, তাঁদের অনেকেই নিয়মাবলীর বিষয়ে সড়গড় নন।