ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে একঘেয়েমি চলে আসা স্বাভাবিক। এই ইট, কাঠ, ক্রংক্রিট ছেড়ে প্রকৃতির কোলে পালানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে আমাদের শহুরে যাপন। তাই বোরিং জীবনের স্বাদ বদলাতে ঘুরে আসা যেতেই পারে মধ্যপ্রদেশের এই শৈলশহর পাঁচমারি থেকে।
সাতপুরা পাহাড়ের রানী পাঁচমারি। উচ্চতা প্রায় ৩,৫৫৫ ফুট। সবুজে মোড়া এক অনবদ্য প্রকৃতি এখানে। নীল আকাশের নীচে শাল-সেগুনের সারি। শান্ত, নিঃশব্দে বসলে পাতা ঝরার শব্দ শোনা যায়। শহরের জীবন থেকে একটু দূরে প্রকৃতির কোলে গিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে এখানে আসাই যায়।
পাঁচমারির রহস্যময় জঙ্গলে ট্রেক করা যায়৷ পাঁচমারিতে দেখার মতো অনেক জায়গায় আছে। প্রিয়দর্শিনী ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সারা শহর দেখুন। এখন থেকে পাঁচমারিকে দেখতে লাগে দারুণ। অপ্সরাবিহার ও পাঞ্চালি কুণ্ড। এই পাহাড়ি শহরের বুক চিরে এলোমেলো জঙ্গুলে রাস্তা নেমে গেছে ৮০০ মিটার নীচে। রয়েছে পাঁচমারি হ্রদ।
শহর থেকে ১০ কিমি দূরে সাতপুরার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ধুপগড়। উচ্চতা ৪৪২৯ ফুট। শাল, মহুয়া, আমলকী হরিতকী গাছে ঘেরা ধুপগড় থেকে সূর্যাস্তের সাক্ষী হওয়া এক রমনীয় অভিজ্ঞতা।
কিভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে মুম্বই মেলে ভায়া এলাহাবাদ পিপারিয়া নেমে বাসে বা জিপে ৪৭ কিলোমিটার অতিক্রম করলেই পাঁচমারি৷ কলকাতা থেকে বিমানে ভোপাল হয়েও যাওয়া যায়৷ সেখান থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে পাঁচমারি৷
এছাড়াও ভূপাল থেকে পাঁচমারি যাবার জন্য রয়েছে রাজ্য পর্যটনের আর রাজ্য সরকারের বাস রয়েছে। সময় লাগে ৫ ঘণ্টার মত।